ঢাকা, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, , ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
englishwithyeasir@gmail.com +8801633686868
ইরানের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা

হামলার বদলা নেওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২১ ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন



Audio

ভূমধ্যসাগরে ‘শাহরি কর্ড’ নামের ইরানের একটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলার ঘটনায় ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তেহরান।

এ হামলার উপযুক্ত বদলা নেওয়া হবে বলে সোমবার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

ইরানের তদন্ত কমিটি তাদের পণ্যবাহী জাহাজে হামলার ঘটনায় ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার একদিন পর এ হুশিয়ারি দেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, পণ্যবাহী জাহাজে হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
 
ওই জাহাজটিকে লক্ষ্য করে গত বুধবার বিস্ফোরক ছোড়া হয় বলে শুক্রবার দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র আলী গিয়াসিয়ান।

এ ঘটনায় জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। তবে খুব দ্রুত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন জাহাজটির ক্রুরা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানানো হয়।

কারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা বিধান সংশ্লিষ্ট দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে ইরানের জাহাজটির ওপর হামলা ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।

কোম্পানির মুখপাত্র আলি গিয়াসিয়ান ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের হামলা জলদস্যুতার সমতুল্য এবং বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচল ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তার স্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্পূর্ণ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাব আমরা।

জাহাজটি ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বর্তমানে সেটি মেরামত করা হচ্ছে। মেরামত শেষ হলে সেটি আবার ইউরোপের পথে যাত্রা শুরু করবে।

দুই সপ্তাহ আগে ওমান উপসাগরে এ রকম এক হামলা হয়েছিল ইসরাইলি জাহাজ এমভি হেলিয়াস রেতে। গোলার আঘাতে হেলিয়াস রের বাইরের কাঠামোর দুই পাশে ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছিল ইসরাইল।

তবে ইরানি জাহাজে হামলার বিষয়ে ইসরাইলের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেনি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো হামলার শিকার হলো ইরানের জাহাজ। ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২টি ইরানি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে।


   আরও সংবাদ